বিশেষ প্রতিবেদন,২২ শে ফেব্রুয়ারি
বাবার মৃত্যু হয়েছে শুনেও মরদেহ নিতে অস্বীকার করলেন মেয়ে ও স্ত্রী।
হ্যাম রেডিওর সূত্র ধরে হদিশ মেলে মেয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ওলংগং হাসপাতালে নামকরা সার্জেন,মেয়ে ও স্ত্রী দুজনেই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিত্ব নিয়ে ওখানেই বাস করেন।গত ২ ডিসেম্বর শেক্সপিয়ার থানার পুলিশরা ,কলকাতার রাস্তায় বৃদ্ধকে অচৈতন্য অবস্থায় পরে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।সেখান তার পকেট থেকে একটি পাসপোট পাওয়া যায় ।যার থেকে জানা যায় যে ওই বৃদ্ধর নাম অশোক চক্রবর্তী। ওই বৃদ্ধর থেকে জানা যায় তিনি একজন ব্যঙ্ককর্মী ছিলেন।পুলিশ আরো জানতে পারেন ওনার বাড়ি কলকাতার বিরাটি তে। ওখান পুলিশ খোঁজখবর চালান এবং জানা যায় ২০ বছর আগে তিনি বাড়ি বিক্রী করে হুগলীর উত্তরপাড়ায় চলে যান।কিন্তু সঠিক ঠিকানা জানা যায় নি।
সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তার পরিবারের খোঁজখবর শুরু করেন, সন্ধান না মিললে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করে হ্যাম রেডিওর সঙ্গে। হ্যাম রেডিওর (অ্যামেচার রেডিও) তরফ থেকে বিদেশমন্ত্রক এবং অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়।হদিশ মেলে আমিতাভ বাবুর স্ত্রী ও মেয়ের।সূত্র ধরে তার মৃত্যু সংবাদ তার স্ত্রী ও মেয়ে কে জানানো হয়, কিন্তু তারা নিতে অস্বীকার করেন।অশোক বাবুর স্ত্রী ইন্দীরা চক্রবর্তী জানান “১০বছর ধরে ওর সাথে কোন সম্পর্ক নেই”।
কোচবিহারের বাসিন্দা ভাই সৌমিত্র চক্রবর্তীও মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন।জানা যায় অরুনপ্রকাশ গুপ্ত র বাড়িতে অশোক চক্রবর্তী বাড়ি ভাড়ায় থাকতেন।তিনি ই তাকে বরানগরে শান্তিনীড় নামে এক বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসেন।গত ১ ডিসেম্বর ওখান থেকে অরুনপ্রকাশ গুপ্ত রাস্তায় ছেড়ে দেন তাকে। গত শনিবার অশোক চক্রবর্তী মারা যান,অস্ট্রেলিয়ায় তার মেয়ে ও স্ত্রী কে জানানো হলেও তারা আসতে নারাজ।হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে একান্ত ই যদি তারা না আসেন তাহলে পুলিশ কতৃক মৃতদেহ সৎকার করার ব্যবস্থা করা হবে,সেই অনুযায়ী থানায় একটি সম্মতি পত্র দেওয়া হবে।টানা পোড়েন থেকেই গেল অশোক বাবুর মৃতদেহ নিয়ে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক বাবুর কয়েকজন বন্ধুর সাহায্যে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করা হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে।