বিশেষ প্রতিবেদন,২০ মার্চ
২৮ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের আকাশে একটি অগ্নিগোলক দেখা গিয়েছিলো।এই অগ্নিগোলক টি আছড়ে পরে গ্লসেস্টার শহরের উইঞ্চকোম্বে।লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে সেটি রাখা আছে।কোটি কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে প্রানের অস্তিত্ত্ব এর উপাদান কি বয়ে এনেছিলো উল্কাপিন্ড? এই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে দ্বন্দ বিজ্ঞানী মহলে।কারন ওই উল্কাপিন্ডে পাওয়া গেছে কার্বন পরমানু এবং এমন কিছু পরমানু যাদের ছাড়া প্রানসৃষ্টি হ ওয়া সম্ভব নয়।বিজ্ঞানী মহলে জরালো একটি সন্দেহ দানা বেধেঁছে যে কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবীতে জলের অস্তিত্ব এনে দিয়ে ছিলো গ্ৰহানুরাই।যাদের জন্ম হয় সৌরমন্ডলের আদি পর্বে ,এবং তাদের সঙ্গে সংর্ঘষে পৃথিবী ডুবে গিয়েছিলো জলে।
মনে করা হয় সেই গ্ৰহানুরই অংশবিশেষ হল এই উল্কাপিন্ড।বিজ্ঞানীরা আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন , ৩০০ গ্ৰাম ওজনের পুরোদস্তর কালো রং এর এই অগ্নিগোলক টি একটি ‘কার্বনেশিয়াস কন্ড্রাইট’।আরো জানা গেছে যে,পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ঢুকার আগে এই উল্কাপিন্ড টি বেশির ভাগ সময়টাই মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝামাঝি নানা কক্ষপথে থাকে।এই কক্ষপথেই রয়েছে গ্ৰহানুদের মুলুক।তাই বিজ্ঞানী মহলে র ধারনা যে,সৌরমন্ডল জন্মের সময় উল্কাপিন্ডই ছিলো গ্ৰহানুর অংশ।পরে সেটি কোনো কারনে ছিন্ন হয়ে যায়।পৃথিবীতে এর আগে ৬৫ টি হাজার উল্কাপিন্ড সংগ্ৰহ করেছেন বিজ্ঞানীরা।কিন্তু মাত্র ৫১ টি উল্কাপিন্ড টির মধ্যেই এই উল্কাপিন্ডের মতো রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে।তাই আধুনিক বিজ্ঞান মহল প্রান সৃষ্টির উপাদান যে উল্কাপিন্ড ই বয়ে এনেছে তা সেভাবে মেনে নেয়নি ,তা বলাই যায়।